ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিনের মেয়াদ ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত। মামলার চার্জগঠনের শুনানিও পিছিয়ে একই দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এদিন মামলাটিতে চার্জগঠনের দিন ধার্য্য ছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সম্রাট আদালতে হাজির হন।
সম্রাটের পক্ষে আইনজীবী শাহনাজ পারভীন হিরা শুনানি করেন। তিনি সম্রাটের স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। একই সঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী দেশের বাইরে থাকায় চার্জগঠনের শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে পরবর্তী ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। একই সঙ্গে চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে ২০ অক্টোবর ধার্য করেন আদালত। এদিন দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল স্থায়ী জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট একই আদালত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন। এরও আগে ১১ মে একই আদালত জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। এরপর ১৮ মে হাইকোর্ট দুদকের আবেদনে জামিন বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ২৪ মে আত্মসমর্পণ করলে আদালত সম্রাটকে কারাগার পাঠান।
দুদকের করা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২২ মার্চ দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়।